আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে পাচার ১৮ নারী-শিশুকে বাংলাদেশে ফেরত

নারী-শিশুকে

বেনাপোল প্রতিনিধি: ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ১৮ বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে দুই বছর পর ফেরত পাঠিয়েছেন ভারত সরকার। পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছ থেকে দু’টি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে।

শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত বাংলাদেশিরা হলেন- নড়াইলের সুবর্ণা (২০), খুলনার সারমিন (২১), সুমাইয়া (২৩), সালমা খাতুন (২২), মুক্তা খাতুন (২৩) ও রুনা (২১), সাতক্ষীরার মরিয়ম আক্তার (২৩), মাদারীপুরের মারুফা নাসরিন (২৪), ঝিনাহদাহের মায়না খাতুন (১৯), কিশোরগঞ্জের পাপিয়া আক্তার হ্যাফি (২০), যশোরের রেমা খাতুন আশা (২৩) আমিনা আক্তার ময়না (০৯), লেছা আক্তার মরিয়ম (১৮), শেফালি (২১), সামিয়া (০৮), সেলিনা মোল্লা(২০), রংপুরের জাহানারা খাতুন (২৫) ও রাজশাহীর সনিয়া (২২)।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফেরত আসা নারী-শিশুদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে এনজিও সংস্থ্যা রাইটস যশোরকে ৬ জন ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারকে ১২ জনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এনজিও সংস্থ্যা দু’টি তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিবে বলে জানান তিনি।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিদ আহম্মেদ বলেন, দুই বছর আগে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে তারা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে অদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতের একটি এনজিও সংস্থ্যা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের কাছে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ক্রমে ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়।

ফেরত আসা নারীরা কেউ যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া বলেও জানান এনজিও’র এই কর্মকর্তা।